৪০ পেরোলে পুরুষদের কোন কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো আবশ্যিক

৪০ পেরোলে পুরুষদের কোন কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো আবশ্যিক

৪০ পেরোলে পুরুষদের কোন কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো আবশ্যিক
৪০ পেরোলে পুরুষদের কোন কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো আবশ্যিক

ফারহানা জেরিন: অনেক সময়েই কিছু রোগ গুপ্ত ঘাতকের মতো হানা দেয়, বিশেষত ৪০ পেরোলে কিছু কিছু শারীরিক পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

চল্লিশ পেরোনোর পর শরৎচন্দ্র লিখেছিলেন, ভাগ্যিস তিনি বুড়ো হয়েছেন! তবে চল্লিশ পেরোলে এখন কিন্তু আর কেউ নিজেকে বুড়ো ভাবেন না, বরং নতুন করে শুরু করেন জীবনের নতুন অধ্যায়। কিন্তু সুস্থ জীবনের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সুস্বাস্থ্য। তাই ৪০ পেরোলে কিছু কিছু শারীরিক পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

১। মানসিক চাপ

৪০-এ এখন অনেকেই কর্মজীবনের মধ্যগগনে থাকেন। শুধু কাজেরই নয়, থাকে পারিবারিক নানা চাপও। সব মিলিয়ে চাপ বেড়ে যায় মনের উপর। শুধু বাহ্যিক কারণেই নয়, নিজের মনেও মধ্যবয়সে অনেক রকম টানাপড়েন চলে। এই বিষয়গুলি এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। প্রয়োজন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।

২। ডায়াবিটিস

ডায়াবিটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। আর ৪০ পার করলে অনেকটাই বেড়ে যায় এই রোগের ঝুঁকি। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি। এক দিন খালি পেটে রক্তপরীক্ষা করে জেনে নিন আপনি ডায়াবেটিক কি না। অনেক সময় আগে থেকে পরীক্ষা করলে ভবিষ্যতে ডায়াবিটিস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না ধরা পড়ে যায় তা-ও।

৩। প্রোস্টেট ক্যানসার

পুরুষদের মধ্যে যে ক্যানসারগুলি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তার মধ্যে প্রোস্টেট গ্রন্থির ক্যানসার অন্যতম। ৪০ পেরোলেই তাই এই গ্রন্থির পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময় মতো ধরা পড়লে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অত্যন্ত ভাল চিকিৎসা সম্ভব এই ক্যানসারের।

৪। অস্টিওপোরোসিস

৪০ পেরোলেই হাড়ের ক্ষয় শুরু হতে পারে। তাই সাধারণ হাঁটুর ব্যথা উপেক্ষা না করাই ভাল। অল্প থাকতেই যদি এই সমস্যা ধরা পড়ে তবে বিপদ বাড়ার আশঙ্কা খুব একটা নেই।

৫। লিপিড প্রোফাইল

রক্তে উচ্চ কলেস্টেরলের মাত্রা হৃদ্‌রোগের সমস্যা ও স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই ৪০ পেরোলেই রক্তে স্নেহ পদার্থের মাত্রা কত, তা পরীক্ষা করে জানা দরকার। আগাম সর্তকতা বাঁচিয়ে দিতে পারে প্রাণ।

৬। হরমোন

টেস্টোস্টেরন নামক একটি হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে হাইপোগোনাডিজম নামক একটি রোগ হতে পারে। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুরুষ ৪০ বছর বয়সের পর এই হরমোনের সমস্যায় ভোগেন। তাই চল্লিশ পেরোলেই এই হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। পাশাপাশি পরীক্ষা করা দরকার ভিটামিন বি১২ ও সিরাম ফেরিটিনের মাত্রাও।

৭। হার্ট ও কিডনির স্বাস্থ্য

এই সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার বাইরে ও নিয়মিত হৃদ্‌যন্ত্র ও কিডনির পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে, মাথা ঘোরানো কিংবা ক্লান্তির মতো সমস্যা থাকলে তা কোনও মতেই উপেক্ষা করা ঠিক না।

মতিহার বার্তা/এমআরটি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply